নামাজ কাকে বলে



আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজ আমরা জানবো নামাজ কাকে বলে,

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে সালাত অর্থাৎ নামাজকে একটি সর্ব উত্তম ও সর্বজনীন ইবাদত হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এটাকে দ্বীনের খুটিও বলা হয়। নামাজ ছাড়া ঈমান টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এ কারণে আল্লাহ তায়ালা বলেন তোমরা আমার স্মরণে নামাজ আদায় করো। নামাজ এটি একটি ফার্সি শব্দ এর আরবি প্রতিশব্দ হলো সালাত এবং এর আভিধানিক অর্থ হলো প্রার্থনা করা, তাসবিহ বা পবিত্রতা বর্ণনা করা, দরুদ পড়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় নির্দিষ্ট রোকন ও জিকির সময় সমূহ কে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ পদ্ধতিতে আদায় করাকে নামাজ বা সালাত বলা হয়। প্রিয় পাঠক ইসলামী শরীয়তে কিছু নামাজ আছে যেগুলো ফরজ কিছু ওয়াজিব কিছু সুন্নত ও কিছু নফল আমরা প্রত্যেকটি নামাজের বিধান জেনে সঠিক নিয়মে আদায় করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

তিনটি এমন সময় যে সময় নামাজ পড়া মাকরূহ

কোন কোন সময় গুলিতে নামাজ পড়া মাকরূহে তাহরিমি। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে এমন কিছু সময় আছে যে সময় গুলিতে নামাজ পড়া নিষেধ।
এক সূর্যোদয়ের সময় অর্থাৎ যখন সূর্য উদিত হয় তখন নামাজ পড়া মাকরূহ। দ্বিতীয় সূর্য যখন মাথার উপরে থাকে অর্থাৎ সূর্য যখন একদম মধ্যম আকাশে অবস্থান করে সে সময় নামাজ আদায় করা নিষেধ।
তৃতীয়তঃ সূর্যাস্তের সময় অর্থাৎ সূর্য যখন অস্ত যায় সহজ ভাষায় বলতে গেলে সূর্য যখন ডুবে যায় সে সময় নামাজ আদায় করা নিষেধ। এই তিনটি সময় ব্যতীত অন্য যেকোনো সময়ে সালাত আদায় করা যেতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকেই নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার তৌফিক দিন। আমিন!

ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের সালাত মুসলিম জাতির জন্য ধর্মীয় ভাবে যে দুটি দিনকে বিশেষ খুশির দিন ঘোষণা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ঈদুল ফিতর এবং দ্বিতীয় টি হল ঈদুল আযহা আমরা অনেকেই এমন আছি যে এই ঈদের সালাত এর নিয়ম গুলি না জানার জন্য বা বছরের ২-১ বার এই নামাজগুলি আদায় করার কারণে সঠিক নিয়মটা ভুলে যায় এবং এই মূল্যবান একটি নামাজ পড়তে গিয়ে ভুল করে ফেলি এজন্য আমরা আজ জানব ঈদুল আযহা এর নামাজ পড়ার নিয়ম। সংক্ষেপে বলতে গেলে প্রথম তাকবীর, তাকবীরে তাহরিমা আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে সানা পড়ে অতিরিক্ত কিছু তাকবীর দিবে এই অতিরিক্ত তাকবীরের সংখ্যার ক্ষেত্রে ফুকাহে একরামদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে এবং এটা নতুন নয় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে বিধায় এটা নিয়ে আলোচনা করার মত সময় বা সুযোগ এখন আপাতত নেই।

তবে তিনটি তাকবীরের কথা বেশিরভাগ ওলামা একরাম বলে থাকেন অর্থাৎ প্রথম রাকাতে তাকবীরে তাহরীমা বলে হাত বেঁধে ছানা পড়ে আরও অতিরিক্ত তিনটা তাকবীর দিবে এবং তৃতীয় তাকবীরের সময় হাত বেঁধে উচ্চস্বরে সুরা ফাতেহা এবং অন্য সূরা মিলানোর শুরু করবে এবং দ্বিতীয় রাকাতে সিজদা থেকে উঠে প্রথমে আমরা সূরা ফাতিহা পড়বো সূরা মিলাবো এরপর রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তিনটা তাকবীর দিবে এরপর যথারীতি অন্যান্য নামাজের মতই সালাম হবে নামাজ শেষ হবে। আমি প্রথমেই বলেছি যে ঈদের নামাজের তাকবীরের বিষয়ে ফোকাহে একরামদের ভিতরে বিভিন্ন মত রয়েছে আরো যে দুটি মত রয়েছে সেগুলো অনুযায়ী অথবা আমি যে পদ্ধতিটি বর্ণনা করলাম এই অনুযায়ী এগুলোর কোন এক নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি ঈদের সালাত আদায় করে তাহলে তার ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url